জকিগঞ্জ ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জকিগঞ্জে সরকারি দিঘীতে অবৈধভাবে মাছ শিকার: প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক: সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলশার মৌজায় অবস্থিত জেলা পরিষদের মালিকানাধীন একটি সরকারি দিঘী থেকে অনুমতি ছাড়াই পানি সেচে মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। স্থানীয় এক সচেতন নাগরিক সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিতভাবে বিষয়টির তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেছেন।

জানা গেছে, প্রায় ১.১১ একর আয়তনের ঐতিহ্যবাহী এই দিঘীটি (খতিয়ান নং-২) ব্রিটিশ আমলে খনন করা হয়েছিল এবং এটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর বিশুদ্ধ পানির অন্যতম উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সরকার দিঘীটি পুনঃখনন ও আধুনিকায়ন করে, যার উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয়দের পানীয় জল সরবরাহ ও পুষ্টিকর মাছের উৎস নিশ্চিত করা।

তবে অভিযোগ অনুযায়ী, চলতি মাসের ১ তারিখ রাতে কাজলশার গ্রামের সেলিম আহমদ (পিতা- চেরাগ আলী, ইউপি সদস্য), বিলাল আহমদ (পিতা- আব্দুর রহমান), আলমাছ আহমদ (পিতা- মুদরিছ আলী) এবং হাড়িকান্দি গ্রামের জুনেদ আহমদ (পিতা- আব্দুস সাত্তার) নামে চার ব্যক্তি মিলে দুটি সেচ পাম্প বসিয়ে ওই সরকারি দিঘী থেকে জোরপূর্বক পানি সেচ শুরু করেন এবং রাতের আঁধারে মাছ আহরণ করেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ ধরনের কাজ শুধুমাত্র বেআইনি নয়, বরং সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্দেশ্যকে নস্যাৎ করার নামান্তর। তারা জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ভিন্ন একটি পুকুরের লিজ কাগজ দেখিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেন, ফলে পুলিশ বিনা তদন্তেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এই ঘটনায় হাফিজ জুবায়ের নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা লিখিতভাবে ইউএনও বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগে তিনি সংশ্লিষ্ট দিঘীর প্রকৃত মালিকানা ও দখল পরিস্থিতি যাচাই করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

অভিযোগপত্রের অনুলিপি ইতোমধ্যে সিলেট জেলা প্রশাসক, সহকারী কমিশনার (ভূমি), এবং জেলা পরিষদ প্রশাসকের দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।

তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তথ্যসূত্র: দৈনিক ইনকিলাব

ট্যাগস :

জকিগঞ্জ উপজেলা খেলাফত মজলিসের দায়িত্বশীল বৈঠক অনুষ্ঠিত

জকিগঞ্জে সরকারি দিঘীতে অবৈধভাবে মাছ শিকার: প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:৫৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

নিউজ ডেস্ক: সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলশার মৌজায় অবস্থিত জেলা পরিষদের মালিকানাধীন একটি সরকারি দিঘী থেকে অনুমতি ছাড়াই পানি সেচে মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। স্থানীয় এক সচেতন নাগরিক সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিতভাবে বিষয়টির তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেছেন।

জানা গেছে, প্রায় ১.১১ একর আয়তনের ঐতিহ্যবাহী এই দিঘীটি (খতিয়ান নং-২) ব্রিটিশ আমলে খনন করা হয়েছিল এবং এটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর বিশুদ্ধ পানির অন্যতম উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সরকার দিঘীটি পুনঃখনন ও আধুনিকায়ন করে, যার উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয়দের পানীয় জল সরবরাহ ও পুষ্টিকর মাছের উৎস নিশ্চিত করা।

তবে অভিযোগ অনুযায়ী, চলতি মাসের ১ তারিখ রাতে কাজলশার গ্রামের সেলিম আহমদ (পিতা- চেরাগ আলী, ইউপি সদস্য), বিলাল আহমদ (পিতা- আব্দুর রহমান), আলমাছ আহমদ (পিতা- মুদরিছ আলী) এবং হাড়িকান্দি গ্রামের জুনেদ আহমদ (পিতা- আব্দুস সাত্তার) নামে চার ব্যক্তি মিলে দুটি সেচ পাম্প বসিয়ে ওই সরকারি দিঘী থেকে জোরপূর্বক পানি সেচ শুরু করেন এবং রাতের আঁধারে মাছ আহরণ করেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ ধরনের কাজ শুধুমাত্র বেআইনি নয়, বরং সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্দেশ্যকে নস্যাৎ করার নামান্তর। তারা জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ভিন্ন একটি পুকুরের লিজ কাগজ দেখিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেন, ফলে পুলিশ বিনা তদন্তেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এই ঘটনায় হাফিজ জুবায়ের নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা লিখিতভাবে ইউএনও বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগে তিনি সংশ্লিষ্ট দিঘীর প্রকৃত মালিকানা ও দখল পরিস্থিতি যাচাই করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

অভিযোগপত্রের অনুলিপি ইতোমধ্যে সিলেট জেলা প্রশাসক, সহকারী কমিশনার (ভূমি), এবং জেলা পরিষদ প্রশাসকের দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।

তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তথ্যসূত্র: দৈনিক ইনকিলাব