জকিগঞ্জ ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিলেটে মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, আটক ২

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে এয়ারপোর্ট থানার ছড়াগাঙ রাবার বাগান এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন—শাহপরান থানার দলুইপাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে রাকিব মিয়া (২৫) ও একই থানার উত্তর মোকামের গোল পীরেরবাজার এলাকার হাসেম মিয়ার ছেলে আব্দুর রহিম।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার তরুণীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীর বাবা জানান, চারদিন আগে তার মেয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে মঙ্গলবার সকালে মেয়ের মোবাইল থেকে একটি ফোনকল আসে, যেখানে জানানো হয়, সে একটি চা বাগানের কাছে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান স্বজনরা।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সাইফুল ইসলাম জানান, পরিবারের মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

তিনি আরও জানান, নির্যাতিত তরুণী কিছুটা সুস্থ হলে তার কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ভুক্তভোগীর বাবা এই নির্মম ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমার মেয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ। যারা এই কাজ করেছে, তাদের যেন কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।”

ট্যাগস :

জকিগঞ্জ উপজেলা খেলাফত মজলিসের দায়িত্বশীল বৈঠক অনুষ্ঠিত

সিলেটে মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, আটক ২

আপডেট সময় : ০১:৩০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে এয়ারপোর্ট থানার ছড়াগাঙ রাবার বাগান এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন—শাহপরান থানার দলুইপাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে রাকিব মিয়া (২৫) ও একই থানার উত্তর মোকামের গোল পীরেরবাজার এলাকার হাসেম মিয়ার ছেলে আব্দুর রহিম।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার তরুণীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীর বাবা জানান, চারদিন আগে তার মেয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে মঙ্গলবার সকালে মেয়ের মোবাইল থেকে একটি ফোনকল আসে, যেখানে জানানো হয়, সে একটি চা বাগানের কাছে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান স্বজনরা।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সাইফুল ইসলাম জানান, পরিবারের মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

তিনি আরও জানান, নির্যাতিত তরুণী কিছুটা সুস্থ হলে তার কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ভুক্তভোগীর বাবা এই নির্মম ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমার মেয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ। যারা এই কাজ করেছে, তাদের যেন কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।”